ডোমারে স্কুলছাত্র আরিফ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করলেন সিআইডি

 



নীলফামারীর ডোমারে স্কুলছাত্র আরিফ হোসেন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয় মামলার আসামিসহ দুইজন গ্রেফতার হলে তাদের থেকে এমন তথ্য জানতে পারে সিইআইডি।


গ্রেফতাররা হলেন কহিনুর (৪০) ও আলমগীর (৪০)।‌ অটোরিকশা ছিনতাইয়ে বাঁধা দেওয়ায় আরিফকে তারা হত্যা করেন বলে সিআিইডিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।


মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান। তিনি বলেন, ডোমারে বাবার অটোরিকশা নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে বের হন আরিফ। ‌এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।‌ নিখোঁজের সাত দিন পর ডোমারের বড় রাউতা মাঝাপাড়া এলাকার একটি অব্যবহৃত গভীর নলকূপের ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নিহত আরিফ ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।


ঘটনার নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে আজাদ রহমান জানান, ডোমার কলেজ গেটের পাশে মাদ্রাসা মোড় থেকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানা এলাকায় যাওয়ার জন্য ১৫০ টাকা ভাড়ায় যাত্রীবেশে আরিফের অটোরিকশায় ওঠেন তারা। বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে দোলাবাড়ী নামে একটি নির্জন স্থানে যাওয়ার পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে আরিফকে অটোরিকশাটি থামাতে বলে। তখন অটোতে থাকা কহিনুর ও তার সহযোগী আরিফকে জোরপূর্বক অটোরিকশা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে অটোটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বাঁধা দিলে আরিফকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে ধারালো ছুরি/চাকু দিয়ে তার গলায় আঘাত করে হত্যা করে মরদেহটি পাশের অব্যবহৃত গভীর নলকূপের ঘরে মরিচের শুকনা গাছ দিয়ে ঢেকে রেখে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বন্ধু আলমগীরের সহযোগিতায় ৪৫ হাজার টাকায় অটোটি বিক্রি করেন রুবেল। 



Previous Post Next Post