ডোমারে কিশোর হত্যার ৩সপ্তাহেও চিহ্নিত হয়নি হত্যাকারী: সহপাঠী, পরিবার ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

 



অটোরিকশা সহ নিখোঁজের সাতদিন পর কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হলেও মামলার পর আরো দুই সপ্তাহেও চিহ্নিত হয়নি হত্যাকারী।

দ্রুত আসামীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবীতে ডোমার-ডিমলা সড়কে ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে পরিবার, এলাকাবাসী ও সহপাঠীরা। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টম্বর) দুপুরে কর্মসুচিগুলো পালন করা হয়েছে।

এ সময় নিহত আরিফের মা তফিনা বেগম, সুসাশনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সেলিম রেজা, সহপাঠী আলিফ হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে নিহত আরিফের পরিবারের লোকজন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তার বাবা অসুস্থ, ঠিকমতো চলতে পারেনা। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবা অটোচার্জার গাড়ি চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছিলো। ছেলের মৃত্যুতে পরিবার আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত।

তারা আরো বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ডোমার থানায় হত্যা মামলা করলেও প্রসাশনিক কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। আরিফের হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, বিষয়টি সব্বোর্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। আশাকরি আসামীদের দ্রুত গেফতার করা হবে।

প্রসঙ্গত, নীলফামারীর ডোমারে গত গত ১৯ আগষ্ট বিকালে বাবার অটো রিক্সা নিয়ে বের হয়ে নিঁখোজ হয় অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ আরিফ হোসেন (১৪)। এর সাত দিন পর ২৬ আগষ্ট বিকাল সাড়ে পাঁচ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নে মাঝাপাড়া এলাকার ধান ক্ষেতের পাশ্বে একটি পাকা ডিপসেচ পাম্প ঘর হতে প্রশাসন অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন আরিফের বড় বোন ঝরনা আক্তার কেয়া বাদী ডোমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


Previous Post Next Post